হলদে পাখির পালক - লীলা মজুমাদার Halde Pakhir Palak pdf by Leela Majumdar
কত দেরি হয়ে খেল তুলো তবু বাড়ি এল না, সন্ধ্যে হয়ে গেল, রাত হয়ে গেল। দাদু তাস খেলতে যাবার আগে বললেন, খুঁজতে যাবার কিছু দরকার নেই, কেউ তোদের নেড়িকুত্তো চুরি করবে না, থিস পেলে সুরসুর করে নিজেই বাড়ি ফিরবে দেখিস।' রাদ্দুর গলার কাছটা কীরকম ব্যাথা ব্যাথা করছিল; তখন ভুলোর খাবার সময় হয়ে গেছে, বারান্দার কোনায় ভুলোর জ্বালায় যুব-ত্রুটিগুলোকে নীলমতো দেখাচ্ছে, পিঁপড়েরা এসেছে। আদার শিকের সঙ্গে তুলোর চেনের আগায় কলারটা আটকানো ছিল। খুব মজার দেখাচ্ছিল। ভারি দুষ্টু ভুলো। কলার আঁটিবার সময় কান খাড়া করে গলা ফুলিয়ে রাখে; তারপরে যেই-না সবাই চলে যায়, কান চ্যাপটা করে, গলা সরু করে, কলারের মধ্যে থেকে সুভূত করে বেরিয়ে পড়ে দে ছুট। কেন ভুলো পালিয়ে যায়? ... দাদা তেন কলার আর একটা বেঁটে লাঠি হাতে নিয়ে গেটের কাছে দূরে রেলের লাইনের ওপারের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। রুমুকে দেখেই রেগে গেল। যা, ঘরে যা, এখানে কেন এসেছিল। যা ভাগ। দাদা, বোধ হয় সে সাঁওতাল গ্রামে গেছে। ওরা যদি মারে?” “বেশ হবে, ঠিক হবে, আমি খুব খুশি হব, পালানো বেরুবে, আসুক না বাড়ি, পিটিয়ে মঙ্গা বের কাচ্ছি। যা, পালা, ছিঁচকাঁদুে রুমু আবার পিছনের বারান্দায় গেল। এমনি সময় ভুলো বাড়ি এল। অন্যদিনের মতো সামনের গেট দিয়ে দৌড়ে দৌড়ে নয়। রান্নাঘরের পেছন দিয়ে, দেয়াল ঘেঁষে ঘেঁষে ল্যাজ নামিয়ে, কান ফুপিয়ে, আড়চোখে তাকাতে তাকাতে, স্রেফ একটা চোরের মতো এসেই রুমুর পায়ে মুখ রেখে ল্যাজ নাড়তে লাগল। রুমুর মুখে কথাটি নেই, গা শিরশির করতে লাগল। অনলা নিয়ে খাবার ঘর থেকে আলো এসে ভুলোর গায়ে পড়েছে, সেই আলোতে রুনু দেখতে পেল তুলোর ঠোটের কোলে ছোট্ট একটা হলদে পালক তজে রয়েছে। সোনার মতো জ্বলজ্বল করছে। রুমুর বুকটা ধড়াস করে উঠল, এক দৌড়ে দাদার কাছে গেল। "সাদা, ভুলোর ঠোটের কোনায় সেইরম হলদে পালক।
উপরে দেখলেন সাতটি নভেলা ২য় খণ্ড বইটির কিছু অংশ।সাতটি নভেলা ২য় খণ্ড pdf টি সম্পূর্ণ download করুন নিচে থেকে। এছাড়াও সকল লেখকদের তালিকা একনজরে দেখুন এখানে। boibanglo.blogspot.com বই পড়ার প্রতি আগ্রহ তৈরিই করার লক্ষ্যে নেটে পাওয়া কিছু pdf শেয়ার করে।