ঈশ্বরের মুখোশ - জাহিদ হোসেন Iswarer Mukhush pdf by Zahid Hossain
লোকটা অবশ্য নার্সের অস্তিত্ব নিয়ে বিন্দুমাত্র ওয়াকিবহাল না। তার মন বিক্ষিপ্ত, ঘুরে বেড়াচ্ছে হাজারো জায়গায় । নার্সের দিকে মনোযোগ দেয়ার মত সময় তার নেই । কয়েকদিন যে ভালোমত ঘুম হয় নি তা তার চোখের নিচে কালি দেখেই বোঝা যায় । আরো বুঝা যায় কয়েকদিনের খোঁচা খোঁচা দাঁড়িতে। তো এই বিক্ষিপ্ত মন আর ঘুমক্লান্ত শরীর নিয়েই করিডরে পায়চারি করতে থাকেন মানুষটি আর ভাবতে থাকেন তিনের মাহাত্ম্য । কাল তিনটি । অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত। মানুষের প্রকৃতিও তিন-দেহ, মন ও আত্মা । মৌলিক রংয়ের সংখ্যা? সেটাও কিন্তু তিন-লাল, সবুজ ও হলুদ । তারপর, খ্রিস্টানদের হলি ট্রিনিটি-পিতা, পুত্র ও পবিত্র আত্মা । হিন্দু ধর্মেও একটা ট্রিনিটি আছে যাকে ত্রিমূর্তি নামে ডাকা হয়। সেই ত্রিমূর্তিরা হচ্ছেন ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব। বৌদ্ধ ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ ত্রিপিটককে সাধারণত ভাগ করা হয় তিন ধরণের শিক্ষায়-সুত্রা পিটক, বিনায়া পিটক ও অভিধর্ম পিটক । ত্রিপিটক একটা পালি শব্দ । এর মানে, তিনটা ঝুড়ি । জুডাইজমেও তিনের ব্যাপক আধিক্য। তাদের পূর্বপূরুষ তিনজন-আব্রাহাম, আইজ্যাক ও জ্যাকব। সাধারণত তাদের প্রার্থনা তিনবার করতে হয়-সকালে, দুপুরে ও রাতে। সাবাতের সময় তারা তিনবার খাবার গ্রহণ করেন । গ্রীক পুরাণেও তিনের উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। তাদের মতে দুনিয়া তিনজন দেবতা শাসন করছেন-জিউস (দেবতারাজ), পসাইডন (সমুদ্রের দেবতা) ও হেডিস (মর্ত্যের দেবতা)। এর মধ্যে জিউসের প্রতীক তিন ফলা আকৃতির বজ্র, পসাইডনের প্রতীক ত্রিশূল আর হেডিসের প্রতীক হলো কুকুর । তাও আবার তিন মাথাওয়ালা । দার্শনিক প্লেটো ভাবতেন আমাদের এ বিশ্ব একটি ত্রিভূজ থেকে সৃষ্টি । আর সার্বিয়ান আমেরিকান বিজ্ঞানী নিকোলা টেসলা তো শেষ জীবনে এসে এই তিন সংখ্যাটির প্রতি রীতিমতো আসক্ত হয়ে পড়েন। তিনবার হাত ধুতেন তিনি, কোন বাড়িতে ঢুকার আগে সেটা ঘিরে তিনবার চক্কর দিয়ে নিতেন। গ্রীক দার্শনিক পিথাগোরাসেরও তিন নিয়ে আসক্তি ছিল । পিথাগোরাস তিনকে বলতেন পারফেক্ট নাম্বার ।
উপরে দেখলেন ঈশ্বরের মুখোশ বইটির কিছু অংশ।ঈশ্বরের মুখোশ pdf টি সম্পূর্ণ download করুন নিচে থেকে। এছাড়াও সকল লেখকদের তালিকা একনজরে দেখুন এখানে। boibanglo.blogspot.com বই পড়ার প্রতি আগ্রহ তৈরিই করার লক্ষ্যে নেটে পাওয়া কিছু pdf শেয়ার করে।